নিউজ ডেস্ক।।
বাংলাদেশের ক্রিকেটে ‘অনেক প্রথমের নায়ক’ এই তামিম ইকবাল। স্বপ্ন ছিল, দেশের হয়ে যে কোনো এক ফরম্যাটে ১০ হাজার রান করবেন। হলো না।
২০১৬ সালের জুলাইয়ে এক সাক্ষাৎকারে তামিম বলেছিলেন, ‘সত্যিই আমি যেকোনো একটি ফরম্যাটে ১০ হাজার রান করতে চাই। টেস্টে সেটা কঠিন হবে বলে মনে হচ্ছে। তবে যদি আরও ১৫০টি ওয়ানডে খেলতে পারি, তাহলে তা সম্ভব।’
তখনও তামিম বাংলাদেশের হয়ে তিন ফরম্যাটে সর্বোচ্চ রানের মালিক। ১৫৩ ওয়ানডে ম্যাচে ৪ হাজার ৭১৩ রান, সাদা পোশাকে ৪২টি টেস্ট ম্যাচে ৩ হাজার ১১৮ রান। আর ৫২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাঁহাতি এই ওপেনারের রান ছিল ১ হাজার ১৫৪।
তামিম বাস্তবসম্মত চিন্তা করেই বলেছিলেন, টেস্টে হয়তো কঠিন। কিন্তু ওয়ানডেতে সম্ভব। কে জানতো, চোট আর নানা প্রতিকূলতা তাকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করাবে!
আজ (৬ জুলাই) যখন অবসর ঘোষণা করেছেন, তামিমের নামের পাশে ২৪১ ওয়ানডে। রান ৮ হাজার ৩১৩। ১০ হাজারি ক্লাবে ঢুকতে আর ১৬৮৭ রান দরকার ছিল তামিমের। খুব কি অসম্ভব ছিল?
ছিল না হয়তো। কিন্তু তামিম আর অপেক্ষা করতে চাইলেন না। যখন তার ফিটনেস এবং নানা ইস্যু নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে, ঠিক তখনই সবাইকে অবাক করে দিয়ে অবসরের কথা জানিয়ে দিলেন বাংলাদেশের সেরা ওপেনার।
৭০ টেস্টে তামিমের রান ৫ হাজার ১৩৪। ৭৮ টি-টোয়েন্টিতে ১৭৫৮। এই দুই ফরম্যাট নিয়ে হয়তো তামিমের তেমন আক্ষেপ থাকবে না।
কিন্তু যে ফরম্যাটে ১০ হাজারি ক্লাবে ঢোকার সম্ভাবনা ছিল, সেই ফরম্যাটটার জন্যই হয়তো সারাজীবন কষ্টটা বুকে জমা রয়ে যাবে বাঁহাতি এই ওপেনারের। যার কিছুটা প্রকাশ পেয়ে গেলো সংবাদ সম্মেলনে কান্নাতেও।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page